Skip to content
* আমাদের এই সাইটটিতে আপডেট কাজ চলছে, আমাদের সাথেই থাকুন আর নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ *

মায়েরা বাড়িতে নানা দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করেন। রাঁধুনি, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, মানসিক সমস্যায় কাউন্সেলিং ইত্যাদি নানা কিছু।

ইন্টারনেট, ইউটিউবের যুগ আসার আগে রূপ চর্চার নানা টিপসও তারাই দিতেন।

কিভাবে ত্বক মসৃণ হবে, দীঘল কালো কেশ হবে ঘরোয়া নানা সামগ্রীর ব্যবহার করেই সেগুলো অর্জনের চেষ্টা চলতো।

ছোটবেলা থেকে হয়ত বাড়িতে দেখেছেন মুখমণ্ডলে বেসন মেখে রীতিমতো ভুত সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে বড় বোন।

অথবা সপ্তাহে একদিন চুলে ডিম বা দই লাগাচ্ছেন অন্য কেউ।

খাওয়ার সামগ্রী কিন্তু সেগুলো দিয়ে ঘরোয়া-ভাবে রূপচর্চা করা হতো বা এখনো হচ্ছে।

কিন্তু সেগুলো কাজে লাগে কিনা সেনিয়ে মন্তব্য করছেন আসল বিউটিশিয়ানরা।

ত্বকের আর্দ্রতায় ঘি, ত্বক মসৃণ করতে বেসন

এর ব্যবহার সম্পর্কে হয়ত শুনেছেন। বেসন পানি দিয়ে মাখিয়ে থকথকে করে নিতে হবে।

তার পর সেগুলো ত্বকে মাসাজ করতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কিন্তু প্রসাধন বিজ্ঞানী ফ্লোরেন্স আদেপজু বলছেন, “ঘি খুব আঠালো বস্তু। এতে যে উচ্চমাত্রায় চর্বি রয়েছে যা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। আমি বিউটি টিপ হিসেবে এটিকে না বলবো। আর ছোলা দিয়ে বানানো বেসন হয়ত ত্বক মসৃণ করতে কিছুটা আসতে পারে। কিন্তু দেখুন এগুলোতো ত্বকে লাগানোর জন্য বানানো হয়না। তাই রূপ চর্চায় এর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।”

নরম চুল পেতে ডিম

খসখসে চুল অনেকেরই খুব অপছন্দ। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার দিলে চুল নরম হয় বলে বিউটিশিয়ানরা বলে থাকেন।

নারীর দীঘল কালো চুল নিয়ে এই উপমহাদেশে নানা গল্প রয়েছে।

চুলে ডিম মাসাজ করে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পর নাকি চুল নরম হয়।

কাচা ডিমের গন্ধ একদম সুখকর না হলেও বহু মেয়েদের এটি ব্যাবহার করতে দেখা যায়।

শরীরের প্রোটিন চুলের গোঁড়াকে শক্ত করে।

হেয়ার আর্টিস্ট টলু আগোরো বলছেন, “আমাদের চুলের ভেতরটাতে রয়েছে প্রোটিন। আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন থাকলে সেটি চুলের গোঁড়াকে শক্ত করে। এতে চুল ভাঙা বা আগা ফাটা কমে।”

“তবে ডিমে যে প্রোটিনের অণু রয়েছে তা চুলের কাণ্ডের জন্য অনেক বড়। ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামতে তা কাজ করে এই ধারনার সাথে আমি একমত নই।”

লেবুর রসে শরীরে পশম ব্লিচ করা

শরীরের লোম অনেকের অপছন্দ। অনেকেই হাত, পা ও মুখমণ্ডলের ত্বকের অতিরিক্ত লোম তুলে ফেলেন।

অনেকে পাতলা লোম ব্লিচ বা সাদা করেন। লেবুর রসের এই ক্ষমতা আছে বল মেনে করা হয়।

লেবুর রসে মধু মিশিয়ে লোমের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে রোদে বসে থাকলে লোমের রঙ হালকা হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।

স্টাইলিস্ট ম্যাগাজিনের বিউটি এডিটর লুসি পার্টিংটন ঠিক সরাসরি বলছেন যা এটি কাজে আসে। তবে তিনি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছেন।

লেবুর রস দিয়ে লোম সাদা করার বেশ প্রচলন রয়েছে।

তিনি বলছেন, “ত্বকে মধু মিশ্রিত লেবুর রস লাগিয়ে রোদে বসে থাকলে সূর্যের আলোতে ত্বক কি পরিমাণে পুড়ে যাবে চিন্তা করুনতো একবার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শরীরের লোমকে সহজভাবে নিন। লোকে কি ভাবল তাতে কি আসে যায়?”

চুল চকচকে করতে ভিনেগার।

কুচকুচে কালো লম্বা চুল রীতিমতো আভা ছড়াচ্ছে। এ অঞ্চলে সুন্দর মেয়েদের যখন বর্ণনা দেয়া হয় তখন এমন চকচকে চুল তাদের থাকতেই হবে।

এক বাটি হালকা গরম পানিতে ভিনেগার গুলিয়ে তা দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার চুল ধুলে নাকি তেমন আভা ছড়ানো চুল পাওয়া যায়।

হেয়ারড্রেসার ড্যানিয়েল ফারলে ম্যাকসুইনি বলছেন, “ভিনেগারের পরিষ্কার করার ক্ষমতা আসলেই আছে। এতে যে অ্যাসিড রয়েছ তা যা চুলে জমা যেকোনো ময়লা পরিষ্কার করে। তাতে চুল চকচক করবে সেটাই স্বাভাবিক। অ্যাসিড হয়ত চুল মসৃণও করে। তবে যাদের চুল শুষ্কও তাদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।”

সারাবছর ত্বকের নানা সমস্যা লেগেই থাকে। আর বর্ষায় এই সমস্যা আরও বাড়ে। অনেকেই সমস্যার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে রূপচর্চায় জোর দেন।

রূপচর্চা করা জরুরি তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়…

এক্ষেত্রে সবার আগে নজর দিতে হবে ডায়েটে। কারণ পেট ঠিক থাকলে ত্বকও ভাল থাকে। নিয়ম করে রোজ সবজির জুস খান। এতে স্বাস্থ্য ও ত্বক দুইয়েরই উপকার হবে।

বেশি করে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, পটাসিয়ামযুক্ত শাক সবজি খান। এতে ত্বকের জেল্লা বাড়বে ও ত্বক হলে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

এছাড়া খেতে পারেন বাদাম। এতে ওমেগা থ্রি ও ভিটামিনের মত সব উপাদান যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই-ই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারি এই বাদাম।

ত্বক সুন্দর করতে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করাও জরুরি। কারণ বেশি করে জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বেড়িয়ে যায় ফলে ত্বক ও কোমল ও জেল্লাদার।এছাড়া নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। কারণ এর কোনও বিকল্প নেই। এবং দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। তাতেই সুন্দর থাকবে ত্বক ও স্বাস্থ্য।

ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে নবজাতক, শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, প্রবীণ সবার প্রতি সব ঋতুতেই যত্নশীল হতে হয়। তবে শীতকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য এ সময় ময়েশ্চারাইজার জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। এগুলোর মধ্যে তেল, লোশন, জেল, সাদা পেট্রোলিয়াম জেলি ইত্যাদি বেশ পরিচিত। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন মেনে চলতে হবে। শীতকালে যেন ঘনঘন প্রস্রাবের চাপ না আসে, তাই অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করে থাকেন। অথচ এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। রঙিন শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেতে হবে।

শীতকালে শরীরে খোস-পাঁচড়া, দাদ, চুলকানি, খুশকি, চুলপড়া ইত্যাদি বেশি দেখা দেয়। এ সময় মাথার ত্বকে ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে হবে। শরীরের ত্বকের জন্য ত্বকের ধরনের অনুযায়ী ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই মনে করে থাকেন শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক, মিশ্র, শুষ্ক, তৈলাক্ত, সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের চুলকানি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ত্বকের যে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেবা গ্রহণ করতে হবে।

লেখক : মেডিকেল অফিসার, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ, প্রবীণ হাসপাতাল।

জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়। এটা একটা উপসর্র্গ, যা ইনফেকশন বা ইনফ্লামেশনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি ৯৯ হলে এমনকি ৯৯.৯ হলেও সেটা জ্বর নয়। এটার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দরকার নেই। প্রায় সব ভাইরাল ফিভার সাত দিনে চলে যায়। সাত দিনের বেশি হলে আমাদের দেশে টাইফয়েড এবং টাইফাস বা রিকেটশিয়া ভাবা হয়।

তিন সপ্তাহের বেশি হলে সেটাকে ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর ধরা হয়। তারচেয়ে বেশি হলে এবং এতদিনে ক্লু স্পষ্ট না হলে সেটা অজানা জ্বর (পাইরেক্সিয়া অব আননোন অরিজিন-পিউও)। বেশিরভাগ ভাইরাল ফিভারের গা ম্যাজ ম্যাজ করা, সর্বাঙ্গে ব্যথা, কাজে কর্মে অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ এবং অথবা হাঁচি কাশি, নাক ঝরা, ক্ষুধামন্দা এসবই লক্ষণ। প্রথমেই অনেক জ্বর, মাথা ধরা, চোখ মুখ লালচে হওয়া (বিশেষ করে বাচ্চাদের) ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ।

কাশি থাকলে শ্বাসনালির ওপর দিকের প্রদাহ, কাশির সঙ্গে বুকের ব্যথা, বুক আটকে এলে সেটা ফুসফুসের প্রদাহ বা নিউমোনিয়া হিসাবে ধরা হয়। ফোঁড়া হলে জ্বর থাকতে পারে তবে অনেক বেশি থাকলে সেটা অন্য কারণ বা লিভার কিডনি বা হার্ট (ইন্টারনাল অরগান)-এর ফোঁড়া।

* জ্বরের প্রকারভেদ

জ্বর প্রতিদিন একই মাত্রায় থাকলে বা ২৪ ঘণ্টায় এক ডিগ্রির বেশি তারতম্য না (১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হলে সেটা কন্টিনিউড ফিভার; সব ভাইরাল ফিভার এমন। টাইফয়েডও কন্টিনিউড ফিভার। জ্বর যদি দুই ডিগ্রির কম তারতম্য হয় আর স্বাভাবিকে না আসে সেটা রেমিট্যান্ট। আর যদি স্বাভাবিকে (base line) নামার পর আবার বাড়ে সেটা ইন্টারমিটেন্ট। আমাদের দেশে ম্যালেরিয়া ইন্টারমিটেন্ট ফিভার; দুই সপ্তাহ না গেলে ম্যালেরিয়া টিপিক্যাল ইন্টারমিটেন্ট হয় না। শরীরের কোথায়ও পুঁজ জমে থাকলেও ইন্টারমিটেন্ট হতে পারে। শীত করে কাপুনি দিয়ে (শিভারিং) জ্বর এলে ধরে নেওয়া হয় প্রস্রাবের রাস্তা বা পিত্তথলির রাস্তায় ইনফেকশন হয়েছে। ম্যালেরিয়ায়ও প্রচন্ড জ্বর আসে, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে।

জ্বরের প্রথমদিকেই গলা ব্যথা, গলায় লাল টনসিল হলে সেটা ফ্যারিন্জাইটিস বা টনসিলাইটিস। প্রথমদিকের আরেকটা ক্লু হলো রাশ বা দানা। জ্বরের প্রথমদিনেই দানা থাকলে সেটা চিকেন পক্স। এক্ষেত্রে একই জায়গায় বিভিন্ন স্টেজের দানা থাকবে। সাধারণত স্কারলেট ফিগারের দানা আসে দ্বিতীয় দিনে; এটা স্ট্রেপ্টকক্কাস দিয়ে ফ্যারিনজাইটিস/টনসিলাইটিসের সঙ্গে হয়। জ্বরের তৃতীয় দিনে দানা হয় স্মল পক্সে।

হামের দানা হয় চতুর্থ দিনে। এক্ষেত্রে থোকা থোকা দানার আগেই চোখ লাল হয়ে যায়, নাক দিয়ে পানি ঝরে, মুখ গহ্বরের মধ্যে কপলিক স্পট আসে। ৫ম দিন প্রায় মিলিয়ে যাওয়া দানা পাওয়া যায় টাইফাসে। ডেঙ্গি জ্বরে দানা হয় ষষ্ঠ দিনে। জ্বর নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বের হয় বলে এটাকে বলে কনভালেসেন্স র্যাশ। কিছু কিছু জ্বরের স্বভাবগত বৈশিষ্ট আছে। ডেঙ্গিতে জ্বরের সঙ্গে থাকে দানা ও ব্লিডিং (রক্তক্ষরণ)। চিকুনগুনিয়ায় দানার পাশাপাশি ব্যথা হয় অনেক। করোনা জ্বরের সঙ্গে গলা ব্যথা, তারপর কাশি এবং সর্বশেষে শ্বাস কষ্ট হয়।

* জ্বর নির্ণয়ে পরীক্ষা

প্রথম চারদিনে কিছু না করলেও হয়। এর মধ্যে লক্ষণ এসে যায়। বিশেষ করে ভাইরাল ফিভার বোঝা যায়। জ্বরও নামতে থাকে এবং উপসর্গ কমতে থাকে। এ সময় ডেঙ্গির জন্য NS1 antigen I CBC (TC DC PC ESR) করা যেতে পারে। লিভার সবচেয়ে বড় অঙ্গ বলে ধাক্কাটা আগে খায়, তাই SGOT/SGPT করা যেতে পারে। সাত দিনে জ্বর না গেলে ট্রিপল এন্টিজেন ও ব্লাড কালচার করতে হবে। ম্যালেরিয়ার টেস্ট যে কোনো সময় করা যায়। এ ছাড়া লক্ষণ দেখে পরীক্ষা করা যায়, যেমন- শ্বাসে কষ্ট ও কাশি থাকলে বুকের এক্সরে, প্রস্রাবের উপসর্গ মনে হলে ইউরিন রুটিন ও কালচার ইত্যাদি। তিন সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে আরও কিছু পরীক্ষা, বিশেষ করে টিবির টেস্ট করতে হয়।

* চিকিৎসা

প্যারাসিটামল জ্বর, শরীর ব্যথা, ম্যাজম্যাজ অস্বস্তির জন্য একমাত্র ওষুধ।

অবস্থা বুঝে দিনে ৪ বার পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। জ্বর ১০৩ ডিগ্রীর বেশি হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ (বরফ নয়) করতে হবে, বেশি করে পানি পান করতে হবে, গোসল করতে হবে। দরকার হলে স্যালাইন ইনজেকশন নেয়া যেতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। সাধারণত এন্টিবায়োটিক খাবার দরকার হয় না।

* ডেঙ্গি

মৌসুমি রোগটি বর্ষার শুরু কিংবা শেষের দিকে বেশি হয়। আমাদের দেশে জুলাই মাস থেকে দেখা দেয় বেশি। সবচেয়ে বেশি হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের মধ্যে ২০%-এর খারাপ ও মারাত্মক রোগ হতে পারে। অবশ্য ডেঙ্গি যে কোনো মুহূর্তে মারাত্মক হতে পারে; নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা লাগতে পারে।

* কি করবেন

এ সময় জ্বর হলে অর্থাৎ গা ব্যথা, গিরা বা হাড্ডি ব্যথা, মাথা ধরা বিশেষ করে চোখের পেছনে ব্যথা, পেটে পানি লাগা এবং রক্তে শ্বেতকণিকা বা অণুচক্রিকা কমে গেলে পরীক্ষা করে ডেঙ্গি নিশ্চিত করতে হবে।

* খারাপ ডেঙ্গি (খারাপ ডেঙ্গির উপসর্গ) : ১. রক্তক্ষরণ হলে (বিশেষ করে শ্লৈষিক রক্তক্ষরণ হলে), রোগী পেট ব্যথা বললে বা পেটে হাত দিলে শক্ত মনে হলে অথবা কুঁচকিয়ে উঠলে, লিভার বড় হলে, অনবরত বমি হতে থাকলে, দ্রুত হিমাটক্রিট বাড়লে বা প্লাটিলেট কমতে থাকলে, ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট হলে, রোগীকে অস্থির লাগলে বা অস্থিরতা বেড়ে গেলে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

* মারাত্মক ডেঙ্গি : ডেঙ্গিকে এখন বলে লিকিং ডিজিস। কারণ এ রোগে রক্তনালি লিক করে পানি, প্রোটিন, লবণ রক্তনালি থেকে বেরিয়ে যায়। অনেক বেশি রক্তনালির লিকেজের কারণে দ্রুত প্রেশার নেমে যায় (ডেঙ্গি শক), কিডনি ফেইল হতে পারে, লিভারে এনজাইম হাজার পেরিয়ে যায়, কালো পায়খানা রক্তবমি হয়, অপ্রাসঙ্গিক আচরণ দেখা দেয়, অস্থিরতা বা খিঁচুনির সৃষ্টি হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি আইসিউর চিকিৎসাও লাগতে পারে।

* ডেঙ্গির পর্যায়

ডেঙ্গি তিনটি পর্যায়ে (ফেজে) হয়। ফেব্রাইল, এফেব্রাইল রিমিশন বা ক্রিটিকাল ফেজ ও নিরাময় বা কনভালেসেন্ট ফেজ। ডেঙ্গি জ্বরের বিশেষত্ব হলো গিরার চেয়ে হাড়ের ব্যথা বেশি (ব্রেক বোন ডিজিজ), চোখের পেছনে ব্যথা (চোখ ঘুরালে ভীষণ লাগে)। জ্বর সেরে যাওয়ার সময় বিপদ বাড়তে পারে বলে এফেব্রাইল ফেজকে ক্রিটিক্যাল (শুরু থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম দিন) পিরিয়ড বলে।

ডেঙ্গিকে তিনভাবে বর্ণনা করা হয়। ডেঙ্গি ফিভার, ডেঙ্গি হিমরেজিক ফিভার (ডি এইচ এফ)ও ডেঙ্গি শক সিন্ড্রম। এখন ডিএইচ এফ আগের তুলনায় বেশি; কারণ দ্বিতীয় বার হলে ডেঙ্গি হিমরেজিক ফিভার (ডিএইচ এফ) হয়। একবার ডেঙ্গি হলে এক বছরের মধ্যে ডেঙ্গি হয় না। পরবর্তীকালে হওয়ার চাঞ্চ ০.৫ শতাংশ। রক্তক্ষরণ থাকলেই সেটা হিমোরেজক নয়। ডেঙ্গি জ্বরের সময় অনেকের পুনর্বার মাসিক (রক্তক্ষরণ) হয়।

এটা প্লাটিলেট স্বাভাবিক থাকলেও হয়; তবে এটা হিমরেজিক ডেঙ্গি নয়। ডেঙ্গি হিমোরেজিক ফিভার গ্রেড-৩ ও গ্রেড-৪-কে একত্রে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রম বলে। এটা মূলত রক্তচাপ ও পাল্সের ওপর নির্ভর করে। যেমন প্রেশার পাল্স রেকর্ড না করা গেলে সেটা শক। ডেঙ্গি ফিভার, গ্রেড-১ ডিএইচ এফ বাসায় চিকিৎসা সম্ভব। অন্যগুলোতে হাসপাতালে যেতে হয়।

* প্রতিরোধ

এটি যেহেতু মশাবাহিত রোগ, তাই মশা ঠেকাতে হবে। পাত্রের (জলকান্দা), নির্মীয়মাণ বাড়ির চৌবাচ্চা, ফেলে দেওয়া টায়ার, নারিকেল খোলা, কোমল পাণীয়ের ক্যান ইত্যাদির মধ্যে পানি ৫ দিনের বেশি জমতে দেওয়া যাবে না। তাহলে মশার লার্ভা হয়ে পাত্রের মধ্যে মশার বংশ বিস্তার হবে। ঘরের মশা মারার জন্য সম্ভব সব ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে। ঘরের মধ্যে এডিস মশাকে মারতে হলে পাত্রে, টেবিলের নিচে, পর্দার ভাঁজে, ওয়েটিং রুমে কার্যকরী স্প্রে করতে হবে। মনে রাখবেন, ডেঙ্গির ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হলেও ব্যাপক প্রয়োগ শুরু হয়নি।

* পরিশেষে

বৃষ্টির মৌসুমে এই মৌসুমি জ্বর ডেঙ্গি হয়, এখন তাই ব্যাপক হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। এ সময় যে কোনো জ্বর হলেই ডেঙ্গি ভেবে চিকিৎসা শুরু করা ভালো। তিন-চার দিন টানা জ্বর থাকলে সম্ভব হলে টি সি ডিসি এসজিপিটি, ডেঙ্গি এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে (কোনোটাই অত্যাবশ্যকীয় নয়)। আক্রান্তদের প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ দেয়ার দরকার নেই। পরিমিত পানিই সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। পরিমিত হলো যে পরিমাণ পানি পান করলে প্রেশার ও প্রস্রাব ঠিক থাকে; বিশেষ করে পালস প্রেশার (ওপরের ও নিচের প্রেশারের বিয়োগফল হলো পালস প্রেশার) সর্বাবস্থায় এটাকে ২০-এর বেশি রাখতে হবে। বয়স্কদের বেলায় ৩-৪ লিটার পানি; বাচ্চাদের ৫০-১০০ মি/কেজি পানি পান করতে হবে। প্রতিদিনের প্রস্রাবের পরিমাণও মনিটর করতে হবে। ক্রিটিকেল পিরিয়ডে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

এ সময় পানি কম লাগবে, কারণ রক্তনালির লিকিং হয়। আর বেশি পানি দিলে সেটা পেট ও ফুসফুসে জমবে। বাচ্চাদের বেলায় অতিরিক্ত পানি দিলে ব্রেইন ফুলে যাবে (সেরেব্রাল ইডিমা)। শিশু, গর্ভবতী মা, প্রবীন, অন্য এক বা একাধিক ঝুঁকি (কো-মরবিডিটি) যাদের আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর নেমে গেলে পরপর তিন দিন (৬-৭-৮) সতর্ক থাকতে হবে (ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড)। মশা না কামড়ালে জ্বর হবে না। মশা ঠেকাতে হবে, ফুল হাতা জামা পড়তে হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লাটিলেটের কার্যকারিতা নেই। সংখ্যা দশ হাজারের নিচে গেলে দেয়া যেতে পারে। মারাত্মক রক্তক্ষরণ তবে ব্লাড দিতে হয়।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।

মানবদেহে সাধারণত এক জোড়া কিডনি থাকে। বড় কলাই আকৃতির কিডনি দুটি দৈর্ঘ্য ৯-১২ সেন্টিমিটার; প্রস্থে ৫-৬ সেন্টিমিটার ও ৩-৪ সেন্টিমিটার মোটা হয়। মেরুদণ্ডের দুই পাশে কোমরের একটু ওপরে এদের অবস্থান।

এ ব্যাপারে প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ যখন দেখা যায়, তখন কিডনি শতকরা ৭০ ভাগ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

তিনি বলেন, দুটি সহজ পরীক্ষায় কিডনি রোগ নির্ণয় করা যায়। ১. মূত্র পরীক্ষায় আমিষের উপস্থিতি দেখা ও ২. রক্ত পরীক্ষায় ক্রিয়োটিনিনের মাত্রা দেখা।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো— শরীর ফুলে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ করা, মনোযোগহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য ও ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।

কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির মেডিসিনবিষয়ক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে আমরা নেফ্রোলজিস্ট বলি। আর কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির সার্জিক্যাল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে বলি ইউরোলজিস্ট।

কাদের সতর্ক হতে হবে

১. আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

২. উচ্চ রক্তচাপ

৩. স্থূলতা

৪. ধূমপানের অভ্যাস

৫. অধিক বয়স (৫০ বা তদূর্ধ্ব)

৬. পরিবারে কারও কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সতর্ক হতে হবে।

সুরক্ষায় মেনে চলুন ৮ নিয়ম

১. নিজেকে সবল ও কর্মব্যস্ত রাখুন

২. রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন

৩. রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন

৪. সুষম খাদ্য খান এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন

৬. ধূমপান পরিহার করুন

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন

৮. আপনি যদি কিডনি ঝুঁকিতে থাকেন, তা হলে এক বা একাধিক কিডনি রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করুন

কে আক্রান্ত হবেন?

১. পৃথিবীতে শতকরা ১০ জন মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন

২. কিডনি রোগ সব বয়সের এবং সব জাতিকে আক্রান্ত করতে পারে

৩. ৭৫ বছর বয়সের ৫০ শতাংশ মানুষ কমবেশি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি জটিলতায় ভোগেন

৪. ৬৫-৭৫ বয়সের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন পুরুষ এবং প্রতি চার জনের মধ্যে একজন নারী কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

৫. উচ্চ রক্তচাপ এবং বহুমূত্র রোগ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ

আপনি কি ঝুঁকিতে আছেন? তা হলে দেখুন, আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ আছে? আপনি কি বহুমূত্র রোগে ভুগছেন? আপনার পরিবারের কারও কি কিডনি রোগ আছে? আপনার দৈহিক ওজন কি বেশি? আপনার কি জাতিগতভাবে আফ্রিকান, হিসপানিক বা এশিয়ান বংশধর?

আপনার উত্তর এক বা একাধিক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক, যা আপনার সুস্থ জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত করে। এখানে কিছু সহজ উপায় বলা আছে, যা আপনাকে কিডনি রোগ থেকে রক্ষা করবে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়

কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকল হয়ে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হচ্ছে। কিডনি বিকল রোগীর চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে, এ দেশে শতকরা ৫ ভাগ লোকেরও দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণত ৭০ ভাগ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে রোগীরা বুঝতেই পারে না যে সে ঘাতকব্যাধিতে আক্রান্ত। এই ঘাতকব্যাধি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় অঙ্কুরেই কিডনি রোগ নির্ণয় ও কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা।

কিডনি বিকল প্রতিরোধের ১০ উপায়

১. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস কিডনি বিকলের প্রধান কারণ

২. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখা (HBAIC ৭ (সাত) এর নিচে)

৩. উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (১৩০/৮০এর নিচে)।

৪. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের কিডনির কার্যকারিতা ও প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করা

৫. শিশুদের গলাব্যথা, জ্বর ও ত্বকে খোসপাঁচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত

৬. ডায়রিয়া, বমি ও রক্ত আমাশয়ের কারণে রক্ত, পানি ও লবণ শূন্য হয়ে

কিডনি বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে

৭. ধূমপান বর্জন করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথার ওষুধ সেবন না করা

৯. প্রস্রাবের ঘন ঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে

১০. পাঁচ রঙের সবজি খাবেন, বেশি করে ফল খাবেন, চর্বিজাতীয় খাবার ও লবণ কম খাবেন ও পরিমিত পানি পান করবেন।

সূত্র: ডক্টর টিভি

যতই রূপচর্চা করা হোক, দেহের ভেতর থেকে পুষ্টি না পেলে ত্বক সুন্দর দেখায় না।

ত্বক সুস্থ রাখার প্রথম শর্ত হল পুষ্টিকর খাবার। খাদ্যাভ্যাস ভালো না হলে সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব নয়।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে এমন কয়েকটি ভিটামিন সম্পর্কে জানানো হল।

ভিটামিন সি

এটা ত্বকের ভেতর ও বাইরে দুই স্তরেই কাজ করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ও ক্যান্সার প্রতিরোধক। এটা কোষকলা উৎপাদন করে ও প্রোটিন ত্বককে দৃঢ় ও নমনীয় করে। ভিটামিন সি বয়সের ছাপ কমায় ও ত্বক টানটান ও কোমল রাখে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: টক ফল যেমন- কমলা, লেবু, আঙুর-জাতীয় ফল, মিষ্টি লেবু। স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে। টমেটো। সবজি যেমন- ব্রকলি, ফুলকপি।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স

সুন্দর ত্বকের জন্য খাবারে নায়াসিন অথবা ভিটামিন বি-থ্রি যোগ করা প্রয়োজন। ত্বকের মসৃণভাব বাড়াতে, বলিরেখা দূর করতে ও কোমলভাব আনতে ভিটামিন বি-থ্রি জরুরি।

এটা ত্বকে সেরামাইডস ও ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরিতে ভূমিকা রেখে ত্বকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোমল ভাব ধরে রাখতে ভিটামিন বি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ফলিক অ্যাসিড অথবা ভিটামিন বি-নাইন কোষ উৎপাদন ও কোষের বৃদ্ধির জন্য জরুরি। তারুণ্যময় ত্বকের প্রথম শর্ত হল স্বাস্থ্যকর কোষ।

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার:  বাদামি চাল ও শস্য যেমন- বাজরা, বার্লি। ডিম ও দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। সবজি, বীজ ও বাদাম।

ভিটামিন ই

আরেকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উন্মুক্ত রেডিকেলের কারণে হওয়া ত্বকের জারনের ক্ষয় হ্রাস করে। এই ভিটামিনে আছে প্রদাহনাশক উপাদান যা ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভিটামিন ই ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে। ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ সবজি যেমন- পালংশাক ও ব্রকলি। বাদাম- চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম ও হ্যাজেল বাদাম। সূর্যমুখীর বীজ।

শীত বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। এ সময় বাতাস বেশ শুষ্ক থাকে। এর প্রভাব ত্বক ও মেকআপের ওপর পড়ে। তবে সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে নিখুঁত মেকআপ লুক পাওয়া সম্ভব।

চলছে শীতকাল। আমাদের দেশে এ ঋতুকে বিয়ে ও পার্টির মৌসুম হিসেবে মানা হয়। এ ধরনের উৎসবে নারীরা মেকআপ করে যেতেই পছন্দ করেন। শীতে গরমকালের মতো ঘাম হয় না দেখে অনেকেই কোনো কিছু চিন্তাভাবনা না করে ইচ্ছেমতো মেকআপ করেন। কিন্তু এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মুখের শুকনা টান ধরা অংশগুলোয় ফাউন্ডেশন জমে গিয়ে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে মাত্র ছয়টি উপায় মেনে চললে খুব সহজেই শীতের মেকআপ–সংক্রান্ত এই ঝামেলাগুলো এড়ানো যাবে।

ত্বক প্রস্তুত

 

এই সময় বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। এ জন্য ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। এমনকি মিশ্র ও তৈলাক্ত ত্বকও কিছুটা শুষ্ক হয়ে যায়। মেকআপ করার আগে ত্বক প্রস্তুত করতে হয়। তবে শীতের জন্য একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। মেকআপের আগে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে চাইলে হাইড্রেটিং সিরাম বা শিট মাস্ক বা টোনার ব্যবহার করতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার

মেকআপ হালকা বা ভারী যেমনই হোক না কেন, প্রাইমার লাগাতেই হবে। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে এর বিকল্প নেই। এ ছাড়া রোমকূপ ছোট করা, ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা শুষ্কতা কমানো, বয়সের ছাপ কমাতে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়। এমন আবহাওয়ায় ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত।

হালকা বেজ

শীতকালে ত্বকে অনেক বেশি শুষ্কতার প্রভাব পড়ে। তাই এ সময়ে ত্বকের ফাউন্ডেশন হালকা রাখা উচিত। কারণ, ফাউন্ডেশনের চেয়ে খারাপ আর কিছুই নেই, যা মুখের শুষ্ক অংশগুলোকে হাইলাইট করে। এর চেয়ে বরং ত্বক হাইড্রেটেড রাখার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য বেজ মেকআপে ময়েশ্চারাইজিং ফাউন্ডেশন বা স্কিন টিন্ট ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। চাইলে সামান্য ফাউন্ডেশন নিয়ে তার সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে মুখে লাইট বেজ তৈরি করতে পারেন।

কনসিলার

ফাউন্ডেশনের পর ত্বকের দাগছোপ বা হাইপারপিগমেন্টেশন ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে হয়। বাজারে অনেক ধরনের কনসিলার পাওয়া যায়। শীতে কনসিলারও ফাউন্ডেশনের মতো ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং হতে হবে।

ব্লাশঅন

শীতে আবহাওয়ার কারণে অনেকের ত্বক বেশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তাই ত্বকে প্রাকৃতিক আভা আনতে গোলাপি বা পিচ শেডের ব্লাশঅন লাগাতে পারেন। তবে সেটা ক্রিম বা লিকুইড হতে হবে। এ সময়ে যতটা সম্ভব পাউডারভিত্তিক ব্লাশঅন বা অন্যান্য মেকআপ পণ্য (আইশ্যাডো, হাইলাইটার) এড়িয়ে চলুন। কারণ, এ ধরনের পণ্য ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে।

লিপস্টিক

পছন্দের ম্যাট বা সেমি ম্যাট লিপস্টিকগুলো গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালের জন্য তোলা থাক। শীতে ব্যবহার করুন ক্রিম লিপস্টিক। কারণ, এতে ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং উপাদান থাকে, যা ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে।

ছবি: পূর্ন দাশ ও পেকজেলসডটকম

শীতের মৌসুমে প্রকৃতির পাশাপাশি ত্বক ও চুলও হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক, যা মোকাবিলা করতে প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। এই যত্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন শিয়া বাটার।

অনেকেই আছেন যাঁরা নিজেদের রূপরুটিনে প্রাকৃতিক উপাদানই রাখতে বেশি পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য এই শীতের সবচেয়ে ভালো সঙ্গী হলো শিয়া বাটার। এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকায় ত্বক আর চুলকে করে তোলে সুন্দর, সতেজ ও মসৃণ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, শীতকালে ত্বক ও চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন শিয়া বাটার।

ত্বক কোমল রাখতে

শীত মানেই রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক। যদি রূপরুটিনে থাকে শিয়া বাটার, তবে এ মৌসুমেও ত্বক থাকবে সুন্দর, সতেজ ও কোমল। কারণ, এটি ত্বককে রাখে হাইড্রেটেড। এ ছাড়া এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ, যা ত্বকের ওপরের আবরণে একধরনের সুরক্ষা স্তর তৈরি করে এবং ত্বককে শীতের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ঝলমলে ও মসৃণ চুলের জন্য

শীতের মৌসুমে চুল নিষ্প্রাণ হতে শুরু করে। চুলে আসে একধরনের জীর্ণ-শীর্ণ ভাব। তবে শিয়া বাটার ব্যবহার করে যেকোনো সময় চুলে ফিরিয়ে আনতে পারেন প্রাণ। এ জন্য আপনাকে চুলের যত্নে অতিরিক্ত কোনো কিছুই করতে হবে না। অল্প পরিমাণে শিয়া বাটার নিন এবং তা আপনার চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন।

ঠোঁট নরম রাখতে

শীতকালে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হয়, তা হলো ঠোঁট ফাটা। এই মৌসুমে প্রায় কমবেশি সবার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। তবে শীতে ঠোঁট নরম ও কোমল রাখতে শিয়া বাটারের কোনো জুড়ি নেই। ঘুমানোর আগে অল্প পরিমাণে শিয়া বাটার ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এটি সারা রাত আপনার ঠোঁটকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি একে করে তুলবে নরম, কোমল ও মসৃণ।

পা ফাটা রোধ করতে

শীতে ত্বকের অন্যতম সাধারণ ও বিরক্তিকর সমস্যা হলো পা ফাটা। দেখতে খারাপ লাগার পাশাপাশি চলতে–ফিরতেও হয় নানা ঝামেলা। যেহেতু শিয়া বাটার বেশ হাইড্রেটিং, তাই এটি পা ফাটা রোধ করতে পারে খুব সহজেই। রাতে ঘুমানোর আগে সমান পরিমাণে শিয়া বাটার নিয়ে পায়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিন। তাহলে পা ফাটার প্রবণতা কমে যাবে।

বয়সের ছাপ প্রতিরোধে

শিয়া বাটার ময়েশ্চারাইজিংয়ের জন্য দুর্দান্ত একটি প্রাকৃতিক উপাদান। তাই এটি অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। এটি আপনার ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই চাইলে শীতকাল ছাড়াও অন্যান্য সময়েও ব্যবহার করতে পারেন শিয়া বাটার। তবে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ব্রণপ্রবণ তাঁরা এড়িয়ে চলুন।

ঢাকার মিরপুর ১০-এর নানা রকম জিবে জল আনা স্ট্রিট ফুড মন আর পেট—দুইই ভরাবে পকেট খালি না করেই।

বেশ কয়েক বছর ধরেই মিরপুর ১০-এর হোপ মার্কেটের কথা লোকমুখে শোনা যায় এখানকার সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী পোশাক-আশাকের জন্য। ঢাকার সব জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ আসতে দেখা যায় এখানে। আবার মিরপুর ১০-এই আছে বিখ্যাত বেনারসি পল্লী, যেখানে দেশের নানা প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে নির্ভরযোগ্য, মানসম্পন্ন দেশীয় শাড়ি পেতে । তবে এসবের বাইরে এখানকার স্ট্রিট ফুডও কিন্তু মন কাড়ে সবার। আর বলা বাহুল্য, পেটও ভরায়। আর তা–ও পকেটের ওপরে বেশি চাপ না ফেলেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিরপুর ১০-এর বিখ্যাত কিছু স্ট্রিট ফুড সম্পর্কে।

ফুচকা

মিরপুর ১০–এর স্ট্রিট ফুডের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এখানকার ফুচকার কথা। বোম্বাই মরিচ দেওয়া এমন ঝাল-ঝাল ফুচকা দেখে আপনার জিবে জল আসতে বাধ্য। মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুলের সামনেই দেখা মিলবে এই ফুচকার। একসঙ্গে ৯-১০টি ফুচকার দোকান বসে এখানে। ঝাল-টকের অসাধারণ এক সমন্বয় এই ফুচকা। নানা বয়সী মানুষকে ভিড় জমাতে দেখা যায় ফুচকার দোকানগুলোয়। তবে চাইলে মিষ্টি-টক দিয়েও ফুচকা খেতে পারবেন আপনি। প্রতি বাটি ফুচকার দাম পড়বে ২০ টাকা।

লাচ্ছি, বাহারি রঙের গোলা ও কোল্ড কফি

বোম্বাই মরিচ দেওয়া ফুচকার ঝাল কমাতেই যেন দাঁড়িয়ে থাকে লাচ্ছির ভ্যানগাড়িগুলো। দেখা মিলবে ফুচকার দোকানগুলোর ঠিক পাশেই। পাশাপাশি ৭-৮টি ভ্যানগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে। লাচ্ছি ছাড়াও এখানে পাবেন বাহারি রঙের গোলা ও কোল্ড কফি। প্রতি গ্লাসের দাম শুরু ৩০ টাকা থেকে।

চিকেন রোল

মিরপুর ১০-এর গোল চত্বরের শাহ আলী প্লাজার পাশেই ছোট্ট একটি ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হয় মজাদার এই চিকেন রোল। প্লেটে পরিবেশন করা হয় তাদের নিজস্ব সসের সঙ্গে। গরম-গরম এই চিকেন রোল কিন্তু খেতে দারুণ। চিকেন রোলের দাম প্রতি পিস ৪০ টাকা।

তন্দুরি চা

তন্দুরি চা এখন বেশ ট্রেন্ডি৷ মিরপুর ১০-এর গোলচত্বর থেকে পশ্চিম দিকে ২ নম্বর সুইমিংপুলের বিপরীত গলিতে সাজানো আছে সারি সারি স্ট্রিট ফুডের দোকান। গলিটিতে ঢুকে প্রথমেই দেখা মিলবে তন্দুরি চায়ের। এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই চা। প্রথমে একটি চুলায় জ্বাল দেওয়া মসলামিশ্রিত দুধ। এতে  চা-পাতা ও চিনি দিয়ে তৈরি হয় চা। আবার আরেকটি চুলায় পোড়ানো হয় মাটির তৈরি ছোট কাপ। পিতলের পাত্রে চা নিয়ে তা প্রবেশ করানো হয় পোড়া আর গনগনে লাল মাটির কাপে। কাপটি চায়ের সংস্পর্শে আসতেই চা টগবগ করে ফুটতে শুরু করে। ধোঁয়া ওঠা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাটির পাত্রটি ধরে রাখা হয়। এরপর নানা ধরনের বাদাম দিয়ে সেই চা পরিবেশ করা হয় মাটির কাপে। প্রতি কাপ চায়ের দাম পড়বে ৫০ টাকা।

তাওয়া চিকেন আর রুমালি রুটি

তন্দুরি চায়ের দোকানের দুই দোকান পরেই আছে ‘তাকওয়া খানাপিনা’ নামের এক দোকান, যেখানে পাওয়া যায় তাওয়া চিকেন ও রুমালি রুটি। এই খাবারটি তৈরিতে মাংসে কোনো ঝোল রাখা হয় না। মসলা দিয়ে মাংস ভেজে ভেজে তৈরি হয় তাওয়া চিকেন। সঙ্গে পরিবেশন করা হয় নরম তুলতুলে রুমালি রুটি, শসা আর সস।
এই মজাদার খাবারের দাম ৬০ টাকা।

শর্মা

মিরপুর ১০-এর হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিপরীত গলিতেও দেখা মেলে বেশ কিছু খাবারের দোকানের। দোকানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো  হলো ‘চা চলবে’ নামের একটি দোকান। গলির প্রথমেই দেখা মিলবে দোকানটির। সেখানকার শর্মা বেশ জনপ্রিয় এর ভিন্নধর্মী আর একই রকম মজাদার স্বাদের জন্য। শর্মাটির দাম ১০০ টাকা।

অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

  • আপনি যদি অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান তাহলে আপনার ত্বক ফ্যাকাসে, নিস্তেজ এবং শুষ্ক দেখাবে । তাই আপনাকে প্রতি রাতে অবশ্যই কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে । এটা আপনার ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

পানি শরীরের জন্য

  • পানি শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান ।তাই পরিমাণ মতো পানি পান করুন । এটি আপনার ত্বককে সারাদিন প্রাণবন্ত করে রাখতে সাহায্য করবে ।
  • আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন । এটা আপনার ত্বককে প্রভাবিত করে । পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি নিয়মিত গ্রহণ করুন । চর্বি ও তৈলযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, এটা আপনার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে ।
  • বডি লোশন লাগানোর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় হলো গোসলের পর পর । কেননা এ সময় স্কিন সহজে লোশন শোষণ করে নেয় ।

এক গ্লাস পানির মধ্যে

  • এক গ্লাস পানির মধ্যে বরফ দিয়ে ওর মধ্যে মধু, লেবু এবং পুদিনা পাতা দিন শরবত করে নিন । সেই পানিটা পান করুন । এতে ত্বকের চমক বাড়বে ।
  • সূর্যের অতি বেগুনি (UV)রশ্মি ত্বক পুড়িয়ে ফেলে এবং স্ক্রিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।তাই রোদে বের হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে সানস স্ক্রীম ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে অথবা অল্প শসার রস, অল্প গ্লিসারিন ও অল্প গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে বের হওয়ার আগে ও পরে ব্যবহার করতে পারেন, মিশ্রণটি পোড়া ত্বকের জন্য উপকারী ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ।
হোম
ই-শো
লাইভ টিভি
নামাজ শিক্ষা
গেইমস
চাকুরি